চিকিৎসা না হওয়ায় বাবার কোলে প্রাণ হারালো সদ্যজাত
নয়াদিল্লি: অসুস্থ সদ্যোজাতকে বুকে আঁকড়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেরোচ্ছেন বাবা। চিকিৎসার জন্য! এভাবেই পেরিয়ে গেল ৭ ঘন্টা। রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে গেল। গ্রেটার নয়ডা ও নয়ডার নানা হাসপাতালে হন্যে হয়ে ছুটে বেরিয়েও পাওয়া গেল না চিকিৎসা। বাবার কোলেই শেষ হয়ে গেল ছোট্ট ফুটফুটে প্রাণ।
সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে বাবা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এর ন্যায় বিচার চেয়েছেন। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একটি দুই সদস্যের কমিটিও গঠিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত সন্তানের বাবার নাম রাজকুমার, তিনি পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তিনি জানান, বুধবার স্ত্রী রেখা শহরের কৃষ্ণা লাইফলাইন হাসপাতালে রাত ১০ টা নাগাদ এক সন্তানের জন্ম দেন।
জন্মের পর থেকেই সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সেই হাসাপাতালে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা না থাকায় শিশুকে গ্রিন সিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার খরচ অত্যাধিক, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন রাজকুমার।
তাঁর অভিযোগ, ১১টায় অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলে, তা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে আসে। এরপর সদ্যোজাতকে দাদরি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখা যায় কোনও শিশু চিকিৎসকই নেই। একই অবস্থা ছিল বাদলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও’।
এভাবেই এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে কেটে যায় গোটা রাত! শেষপর্যন্ত সকাল ছ’টায় যখন অ্যাম্বুলেন্স নয়ডার একটি সরকারি হাসপাতালে পৌঁছায়, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতর। সেই অবস্থাতেই নিজের বাইকে সন্তানের দেহ নয়ডা থেকে গ্রেটার নয়ডা এনে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন রাজকুমার।
গ্রেটার নয়ডার সেক্টর ৩৬-এর এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ধিক্কারের ঝড় উঠেছে! চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাব এবং গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে নেটিজেনরা।