লড়াই ২৪ ডেস্ক: বুড়ো বয়সে বিয়ে করলেন এক প্রৌঢ়; দাদুর বিয়ের সাক্ষী থাকল নাতি-নাতনিরা। এই প্রৌঢ় দম্পতির বিয়ের সাক্ষী থাকল গোটা গ্রাম৷
মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার মানুষ একেবারে অন্য রকম বিয়ের সাক্ষী থাকল৷ প্রৌঢ়ের বিয়ে নিয়ে মেতে উঠলেন সকলে৷ যেখানে বরের বয়স ৭৯ আর কনের বয়স ৬৬।
এই পরিবারে বাবার বিয়ে শুধু নয়, দাদুর বিয়ের সাক্ষী থাকল নাতি-নাতনিরাও। বিয়ের নিয়ম মালন হল সবই৷ প্রৌঢ়ত্বে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খুশি পাত্র-পাত্রীও৷ শেষ জীবনটা সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর প্রবল ইচ্ছে থেকেই নতুন করে সাত পাকে বাঁধা পড়া।
বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয় মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার মিরাজে অবস্থিত এক আস্থাহীন গৃহহীন মহিলাদের কেন্দ্রে৷ যেখানে ৬৬ বছর বয়সি কনে শালিনীদেবী এবং ৭৯ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দাদাসাহেব সালুঙ্খে একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
Read more…………খোদ কলকাতার বুকে জলে ডোবা নিউটাউনের রাস্তায় উঠল ১৫ কেজি মাছ!
এই কেন্দ্রের আবাসিক ছিলেন শালিনীদেবী৷ পাত্র-পাত্রী দু’জনেই এই বিয়েতে সম্মত হওয়ার পর, পরিবারও বিয়ে রীতিতে সম্মত হয়। চার হাত এক হয় তারপর।মিরাজের গৃহহীন কেন্দ্রে বসবাসকারী ৬৬ বছর বয়সি শালিনীদেবীর স্বামী ও সন্তানের অকাল মৃত্যুর পর থেকেই তিনি এই কেন্দ্রে একা জীবন কাটাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে ৭৯ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দাদাসাহেব সালুঙ্খের স্ত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। ফলে দু’জনের জীবনে সঙ্গীর অভাব ছিল৷ দু’জনেই একাকীত্বে ভুগতেন৷ দাদাসাহেব সালুঙ্খের সন্তানরা বিয়ের পর নিজেদের জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন৷ তাই দাদাসাহেব সালুঙ্খে একাই কাটাচ্ছিলেন নিজের জীবন কাটছিল৷
এই এককীত্ব দূর করতে বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি জানান তিনি।