কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে একটানা আন্দোলন করলেও আখেরে লাভের লাভ তেমন কিছু হয়নি। ভাতা জুটেছে বটে, তবে চাকরি জোটেনি। বৃহস্পতিবারও অল বেঙ্গল ওয়াল ফেয়ার ইউথ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেকার যুবক যুবতিরা বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করে।
সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একক বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রত্যেকটা জেলা থেকে যেমন জেলার জেলাশাসকের দপ্তর ও জেলা শ্রমদপ্তরের সমস্ত মহকুমার দপ্তর, এবং রাজ্যের শ্রম ও দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সমস্ত মুখ্য বিভাগীয় দপ্তরে এবং মাননীয় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক মহাশয় ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনলাইনে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
প্রত্যেকটা জেলার যারা এই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ আছে প্রত্যেকের নিজেদের স্বাক্ষর গ্রহণ করে গণ স্মারকলিপি উল্লেখিত দপ্তরগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্ব বৃন্দের কোথায় আগামী দিনে সরকার আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা “ভাতা নয় চাকরি চাই”এই দাবি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবো।
উল্লেখ্য এই অল বেঙ্গল ইউথ ওয়েলফার অ্যাসোসিয়েশন সারা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন ABYWFA। ২০১২ সালে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর নাম নথিভুক্ত থাকা বেকার যুবক ও যুবতী কর্মপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার এম্প্লয়মেন্ট ব্যাংক নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করেন। উক্ত পটালে নাম নথিভুক্ত করা প্রথম এক লক্ষ বেকার কর্মপ্রার্থীদের ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে যুবশ্রী নামের স্বীকৃতি এবং মর্যাদা দেন স্বয়ং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
এই এক লক্ষ বেকার কর্মপ্রার্থীদের মাসিক ১৫০০ করে উৎসাহ ভাতা চালু করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ তৎকালীন সময় মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু মহাশয় উপস্থিত। কর্মপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বয়সের যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারী পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রম করার পরেও অবস্থা যেই তিমিরে ছিল, কার্যত রয়ে গেছে সেই তিমিরে।
এই বার কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রার্থীরা। একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন এই সংগঠন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী থেকে শ্রম মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য কার্যালয় থেকে সমা দপ্তর সমস্ত কার্যালয় বহুবার এই বেকার সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বহুবার বেকার কর্মপ্রার্থীদের আর্তনাদের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু উক্ত দপ্তর গুলি নীরব বলে দাবি ওই সংগঠনের।
চলতি বছরের ১৩ ফেবত্রুয়ারি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে যুবশ্রী বিষয়ে বর্তমান শ্রম মন্ত্রী মাননীয় মলয় ঘটক মহাশয়কে দুটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রথমত: বন্ধ ভাতা চালু করার বিষয়ে এবং যুবশ্রী প্রকল্প থেকে কেন চাকরি হচ্ছে না??? এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন খতিয়ে দেখার জন্য, কিন্তু সেক্ষেত্রেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন, এই সংগঠনের প্রার্থীরা।
বর্তমানে সারা বিশ্বের তথা দেশ এমনকি রাজ্যের এই কঠিনতম করুণ পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে পড়ে আছেন এই সংগঠনের মেম্বাররা। বহু বেকার কর্ম প্রার্থী আজ অসহায়।