parmadan forest পারমাদন ফরেস্ট
বনগাঁ: কী ভাবছেন এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন? অথচ হাতে টাকা পয়সা কমের মধ্যেই ব্যাপারটা সারতে চান? তবে কিন্তু আপনার জন্য রয়েছে দারুণ সুযোগ। সস্তার মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন পারমাদন ফরেস্ট, যার অপর নাম রয়েছে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য।
কীভাবে পৌঁছাবেন?
বনগাঁ থেকে মোটামুটি ৩০ কিমি দূরে এই জায়গা। তবে যাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই। স্টেশন থেকে ভ্যান বা টোটো ধরে সোজা পৌঁছে যেতে হবে মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে। ভ্যানে করে মিনিট পনেরো সময় লাগে। এরপর উঠে পড়ুন বাসে। পারমোদন ফরেস্টে যেতে হলে আগে নামতে হবে কলমবাগান বাজারে। সেখান থেকে অটো ধরে তবেই পারমোদন ফরেস্ট। বাসে প্রায় ৪০ মিনিট পর কলমবাগান বাজারে নেমে অটো ধরতে হবে। এখান থেকে অটোয় পারমোদন ফরেস্ট যেতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট।
আরও পড়ুন – lpg price: এবার থেকে কি প্রতি সপ্তাহে বদলাবে রান্নার গ্যাসের দাম
‘প্রবেশমূল্য ১৫০ টাকা’
মাথায় রাখতে হবে এই অভয়ারণ্যে এন্ট্রি ফ্রি নয়। প্রবেশমূল্য ১৫০ টাকা।
ইছামতী নদীর গা ঘেঁষে শিমুল, অর্জুন, শিশু, শিরীষ গাছের ভিড়ে হারিয়ে যেতে পারেন এখানে। অসংখ্য বাঁদর, ময়ূর আর খরগোশের আনাগোনা এই অভয়ারণ্যে। আর রয়েছে অজস্র পাখি। শঙ্খচিল, নীলকণ্ঠ, ফুলটুসির মতো পাখি ।
এছাড়া এখানে প্রায় ২০০ হরিণ আছে। ইছামতীর ধারে ৬৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে পুরো অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। ভিতরে চিলড্রেন্স পার্ক ছাড়াও রয়েছে ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা আর বন দফতরের ট্যুরিস্ট লজ।
ইছামতীর বুকে নৌকোভ্রমণ : অভয়ারণ্য থেকে ফেরার পথে ইছামতীর বুকে নৌকোভ্রমণ করাটা কিন্তু আবশ্যিক। মাঝিভাইকে বলে নৌকো নদীর একটু গভীরে নিয়ে গেলেই নদীর প্রশস্ত রূপ প্রকট হয়। কোথাও নদীর দু’ধারে ঘন বাঁশঝাড়, কোথাও বা আলে ঘেরা মেঠোপথ। সূর্যাস্তের সময় ছবি তোলার জন্য একদম মনোরম পরিবেশ।
নীল কুঠী – এই অভয়ারণ্যের পাশেই রয়েছে নীল কুঠী । মেলে গাইডও। ১৮৫৯ সালে প্রতিস্থাপিত এই কুঠী সাক্ষী নীল চাষীদের ওপর ইংরেজদের প্রবল অত্যাচারের।
parmadan forest পারমাদন ফরেস্ট