ভুয়ো ডাক্তার সেজে চিকিৎসা, অবশেষে মৃত্যু রোগীর, গ্রেফতার করল পুলিশ
কল্যাণী: এক ভুয়ো চিকিৎসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর নাম বজরুল রহমান। মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইকো পার্ক থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করে।
বারাসতের ন’পাড়া দেশবন্ধু রোডের বাসিন্দা নিখিল চন্দ্র রায় ৩০ জুন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বাগুইআটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
প্রথমেই ওই হাসপাতালের তরফে তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয় রোগীর পরিবারের কাছে। কিন্তু তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয় যে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তখন আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করে হাসপাতাল।
১২ জুলাই নিখিলবাবুর মৃত্যু হয়। তাঁর পরলৌকিক কাজ মিটিয়ে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়।
সেই সময়ই মৃতের পরিজনরা অভিযোগ করেন, যে ডাক্তার নিখিলবাবুর চিকিৎসা করছিলেন তিনি ভুয়ো। আগেও তিনি গ্রেফতার হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে ওই চিকিৎসককে।
জানা গিয়েছে, নিখিলবাবুর পরিবার যেদিন হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেদিন তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, বচসা চলাকালীন ইট দিয়ে নিখিলবাবুর ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে হাসপাতালেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকো পার্ক থানার পুলিশ। পুলিশ হাসপাতালের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে ও তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে। সেই সময় ওই ভুয়ো চিকিৎসক বজরুল রহমান মোল্লা পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ হাল ছাড়েনি, মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে।
সেই সময় তার কাছ থেকে ও হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়। সেই নথি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ওই অভিযুক্ত। পুলিশের অনুমান এই নথি ভুয়ো।