পুরুলিয়া: কুসংস্কার মানুষকে ছাড়তে পারছে না, না কি মানুষ কুসংস্কারকে? আজকের দিনে দাঁড়িয়েও মানুষ কিছুতেই কুসংস্কার মুক্ত হতে পারছে না! দুঃখের বিষয় হল এই যে কুসংস্কারের জন্য মানুষ নিজেকে যে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে, তা সে উপলব্ধ করতে পারছে না। এই কুসংস্কারের অন্ধকারে আবারও মৃত্যু হল এক যুবকের! সাপের কামড়ে অসুস্থ ওই যুবককে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঝার কেরামতির কারনে মৃত্যু হল পুরুলিয়ার বাগুমুণ্ডির ওই যুবকের।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোররাতে সাপের কামড়ে অসুস্থ হন বছর ২০-এর রমেশ প্রামানিক নামে ওই যুবক। পরিবারের লোকেরা প্রথমে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একজন ওঝার কাছে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর অনেক্ষন ধরে ঝাঁড়ফুঁক করতে থাকে ওই ওঝা। সেখানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসুস্থ যুবককে ঝাড়খন্ডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ১০০ কিলোমিটার দূরে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রমেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর কারন নিয়ে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী পবন মাছুয়ার জানান, প্রযুক্তির যুগে আজও কিছু কিছু গ্রামের মানুষ ঝাড়ফুঁকেই বিশ্বাস করেন। সেকারণে আজ এই পরিণতি। সাপের কামড়ের পর চিকিৎসা করালে আজ হয়তো বেঁচে যেত ওই যুবক।