নদীয়া: দীর্ঘ অপেক্ষার পর আশা করা হচ্ছে যে পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হবে। কিছুটা হলেও আসার আলো দেখছে মধ্যবিত্তরা। হয়তো চালু হবে লোকাল ট্রেন। সেই কারণে কিছু স্টেশনে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বৃত্ত অঙ্কনের কাজ শুরু হওয়ায় আশার সঞ্চার জেগেছে রেলযাত্রীদের মধ্যে।
বেশ কিছু স্টেশনে চলছে পরিষ্কার সাথে স্যানিটাইজেশনেরর কাজ। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য গোল গোল দাগ দিচ্ছে। তবে দেখে যায় মনে করা হচ্ছে যে রেল প্রশাসন ট্রেন চালানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ৭টা – ৫টা ডিউটি করা লাখ-লাখ মানুষের মধ্যে। আগামী ৭, ৮ অথবা ১৫ সেপ্টেম্বর মেট্রো চলাচল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কলকাতার কিছু মানুষের সুবিধা হলেও বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের জন্য আগত কলকাতা অভিমুখে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ এই মুহূর্তে সে সুযোগ পাবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল।
মেট্রোর সমস্ত ব্যবস্থা এমন করা রয়েছে যে একই পথ দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই হাতে থাকে রেল কর্তৃপক্ষর। কিন্তু হাওড়া শিয়ালদা থেকে যাতায়াত করা বহু দূরপাল্লার লোকাল ট্রেনের স্টেশন চারিদিকেই খোলা তাই সেখানে নিয়ন্ত্রণ বেশ খানিকটা কঠিন।
তবুও নদীয়া জেলার মধ্যে চাকদা রানাঘাট কৃষ্ণনগর বিভিন্ন স্টেশনে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল বৃত্ত আকার কাজ শুরু হয়েছে। তা দেখে কিছুটা হলেও মনে আশার সঞ্চার হয়েছে যাত্রী সাধারণের। তবে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও স্বাভাবিক হতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগবে, এমনটাই মনে করেন রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কবে থেকে চালু হচ্ছে ট্রেন, সে বিষয়ে কিছু সদর্থক জানা যায়নি।