লড়াই ২৪ ডেস্ক: গাড়িতেই সমস্ত ব্যবস্থা। থাকবে বসার জায়গা, আলো, ওজনযন্ত্র, পাখা। পিছন দিন থেকে সাজানো একাধিক ডালা। কোনওটাতে থাকবে চাল, কোনওটাতে ডাল, আবার কোনওটাতে গম। ডালা সাজিয়েই হাজির হবে এই বিশেষ কাস্টমাইজড গাড়ি।
ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন রেশন। যারই নাম দুয়ারে রেশন প্রকল্প। আর এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে সফল করতে সাহায্য করবে এই গাড়ি। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সব এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এই রেশনের গাড়ি। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌছতেই প্রত্যেক ডিলারকেই কিনতে হবে এই গাড়ি। আর এই গাড়ি কিনতেই রাজ্যের রেশন ডিলারদের এককালীন ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি খাদ্যভবনে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যের প্রায় ২৩ রেশন ডিলারকে বাড়ি বাড়ি মাল পৌঁছানোর জন্য গাড়ি কিনতে এককালীন অর্থসাহায্য করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন……………….বৃষ্টি থেকে নেই বিরাম, আগামী সপ্তাহে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তরবঙ্গ
নির্বাচনী প্রচারের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ভোটে জিতলেই ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। ঘরে বসেই মিলবে চাল, ডাল, গম। এবার সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক চলছে কাজ। আর তাঁর জন্যই ব্যবস্থা করা হবে এই গাড়ির।
তবে এই গাড়ির দাম যথেষ্ট। সব ডিলারের কি তা কেনার সামর্থ্য হবে? বিষয়টি গত সপ্তাহে খাদ্যশ্রী দিবসের দিন খাদ্য ভবনে ওঠে। সেখানে ছিলেন তিনটি গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধি। সুত্রের খবর, সব সংস্থাই এই ধরণের গাড়ির জন্য ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দর দিয়েছে। অপরদিকে সরকার তরফে দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ডিলারদের পকেট থেকে যাবে প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এই এতটা পরিমাণ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য কি সমস্ত ডিলারের রয়েছে? এই নিয়ে তৈরি হচ্ছে একাধিক বিতর্ক। আবার সরকার তরফে দেওয়া ১ লক্ষ টাকা যাবে না ডিলারের হাতে। ডিলার যেখান থেকে এই গাড়ি কিনবেন সেখানেই সরাসরি জমা পড়ে যাবে এই টাকা। তবে এই বিষয়ে বাস্তবে কী কী সমস্যা হতে পারে সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছে রেশন ডিলারদের ফেডারেশন। তাঁদের বক্তব্য মূলত দু’প্রকার। প্রথমত, পয়লা সেপ্টেম্বর ট্রায়াল দিতে বলা হয়েছে সুতরাং হাতে সময় খুব কম। দ্বিতীয়ত, রেশন দেওয়ার জন্য গাড়িপিছু যে খরচা সেটা বহন করবে কে? গাড়ি কেনার বাকি টাকাই বা জোগাবে কে?