শ্রীরামপুর: দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার লকডাউন। তার মধ্যেই পড়েছে রথযাত্রা। ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা এই বছরের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুজোর আচার হিসেবে নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে মাহেশে। পুরীতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে প্রচলিত রীতি মেনেই। তবে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। সেই কারণে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ যাতে অনলাইনে দেওয়া হয় তার জন্য হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিধূদত্ত পট্টনায়েক, ভবানীশঙ্কর আচার্য ও বিশ্বজিৎ পান্ডা।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ তাঁদের স্বাস্থ্য ফেরাবে এবং সঙ্গে সকলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে। ভক্তদের দাবি, হোটেল, রেস্তোরাঁর খাবার যখন অনলাইনে মিলছে, তখন মহাপ্রসাদ কেন অনলাইনে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বেশ কিছু দিন আগে সাবিত্রী উৎসব উপলক্ষে মহাপ্রসাদ পেতে বহু ভক্ত ভিড় করেছিলেন পুরীর মন্দিরে।
সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় না রেখেই জমায়েত করেছিলেন সব ভক্তরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে প্রসাদ বিলি করা বন্ধ করে দেন জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষ। দুই সেবায়েতকে বরখাস্ত করা হয়।
জগন্নাথ দেবের প্রসাদ যাঁরা তৈরি করেন সেই সুয়ারা ও মহাসুয়ারা নিযোগের দাবি, অনলাইনে মহাপ্রসাদ বিক্রি হলে তার মাহাত্ম্য কমে যাবে। তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরের ৪টি গেটেই ঝোলানো হবে নিয়োগ প্রধানের মোবাইল নম্বর। সবাই সেই নম্বরে কল করে আগাম বুক করতে পারবেন মহাপ্রসাদের জন্য। কিন্তু অন্যদিকে ভক্তরা আদালতের দিকেই চেয়ে বসে আছেন।