লাগাতার ৫ দিন যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোরী, মৃতদেহ উদ্ধার সেপটিক ট্যাংকে
রায়গঞ্জ: লকডাউনের মধ্যেও অপরাধমূলক কাজ কিন্তু থেমে নেই। এই বার এক নির্মম ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির রায়গঞ্জে। যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হল এক কিশোরীকে। তারপর তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হল সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে। ঘটনায় ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় উত্তাল জলপাইগুড়ি।
মৃত কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, ১০ অগস্ট সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। তারপর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গোটা রাত তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ঘটনার কিনাড়া করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে পুলিশ আরও ২ জনের খোঁজ পায়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশি জেরার মুখে ওই কিশোরীকে একাধিক বার যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, লাগাতার ৫ দিন গণধর্ষণের পর ১৫ অগস্ট ওই কিশোরীকে খুন করে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে দেহ ফেলে দেওয়ার কথাও স্বীকার করে অভিযুক্তরা।
তাদের থেকে শুনে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ির প্রধানপাড়ায় যায় পুলিশ। সেখানে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দোষীদের উচিৎ শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান সাধারণ মানুষ।