রতুয়া, মালদা : বিয়ে করার পরেও স্ত্রীকে নিজের ঘরে তুলতে অস্বীকার করেছে স্বামী৷ তাই স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে মঙ্গলবার থেকে ধর্ণায় বসেছেন এক যুবতি৷ ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া ১ ব্লকের সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের সোহরাতলা গ্রামে৷
খবর পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামসী ফাঁড়ির পুলিশ৷ পুলিশকর্মীরা ওই যুবতিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ তবে যুবতির এক কথা, তাঁকে প্রেমিক আইন মেনে বিয়ে করেছে৷ তাঁকে নিয়ে প্রায় আড়াই মাস অন্য জায়গায় থেকেছে৷ তিনি এখন অন্তঃসত্তা৷ তাই হয় তাঁকে স্বামীর ঘরে তুলতে হবে, অথবা তিনি আত্মহত্যা করবেন৷
এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই যুবক তিনদিন ধরে এলাকা থেকে উধাও৷ তার বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, ওই যুবক ফিরে না আসলে তারা কিছু করতে পারবে না৷
ধর্ণায় বসা যুবতির নাম নাসিমা খাতুন (২২)৷ বাবার বাড়ি রতুয়া ২ ব্লকের সম্বলপুর গ্রামে৷ তিনি সামসীতে একটি মেসে রান্নার কাজ করেন৷ সেখান থেকেই প্রায় ৮ মাস আগে তাঁর পরিচয় হয় সোহরাতলা গ্রামের যুবক সাহেব শেখের সঙ্গে৷ প্রায় পাঁচমাস আগে সাহেব তাঁকে বিয়ে করেন৷ তার শংসাপত্রও যুবতির কাছে রয়েছে৷
তিনি বলেন, এলাকারই চরভিট্টি বলে একটি গ্রামে তাঁদের বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর সাহেব তাঁকে এক বন্ধুর বাড়িতে রাখে৷ সেখানে তাঁরা প্রায় একমাস একসঙ্গে কাটান৷ তারপর সে তাঁকে নিয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে ওঠে৷ সেখানেও তাঁরা দেড়মাস একসঙ্গে ছিলেন৷ এরপরেই সাহেব তাঁকে বলে, সে তাঁকে তালাক দেবে৷ তিনি এনিয়ে ঝামেলা শুরু করায় সে ওই ভাড়াবাড়িতে তাঁকে রেখে পালিয়ে যায়৷ তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার বাড়ির লোকজন অন্য জায়গায় তার বিয়ে ঠিক করেছে৷ তাই স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তিনি তার বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন৷ যতক্ষণ না তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে স্বামীর ঘরে তোলা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি এখানেই বসে থাকবেন৷ তা না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন৷
এদিকে সাহেবের দাদা শেখ সাদ বলেন, ভাই বাড়িতে নেই৷ তিনদিন ধরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ এই মেয়েটিকে তাঁরা কখনও দেখেননি৷ তাই ভাই তাকে বিয়ে করেছে কিনা তা তাঁদের জানা নেই৷ ভাই না আসলে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না৷ তবে দশের কথা তাঁরা মেনে নেবেন৷