পশ্চিমবঙ্গে চলমান আন্দোলনের প্রভাব পুজোর ঐতিহ্যবাহী উৎসবে পড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহন ব্যবস্থার বিঘ্ন, ব্যবসায়িক কার্যকলাপের মন্দা এবং জনজীবনে অস্থিরতা পুজোর উৎসবের আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে।
কেন পুজো অর্থনীতি ঝুঁকিতে?
* পরিবহন ব্যবস্থার বিঘ্ন: রুবি মোড় থেকে গড়িয়াহাটের মতো জনবহুল এলাকায় অটোরিকশা চলাচল কমে গিয়েছে। লোকজন ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
* ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মন্দা: পেট্রোল পাম্পে গাড়ির সংখ্যা কমেছে, মিষ্টি, গয়না সহ বিভিন্ন ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।
* বিনোদন অনুষ্ঠান বাতিল: অনেক বিনোদন অনুষ্ঠান বাতিল বা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
* বিজ্ঞাপন শিল্পে মন্দা: বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি চুক্তি বাতিল করছে।
* মানুষের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: আন্দোলনের কারণে মানুষের মধ্যে একটি অস্থিরতা বিরাজ করছে। তারা উৎসব মनाতে আগ্রহী নয়।
ব্যবসায়ীদের মত: ক্ষতি স্বীকার করেও আন্দোলনের সমর্থন: অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসায়ে ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলনের সমর্থন করছেন। তাঁদের মতে, তাঁরা যে বিষয়ে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে তাঁদের সমর্থন রয়েছে।
ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা: আন্দোলন কখন থামবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থা চলতে থাকলে পুজোর সময় রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে। অনেক মানুষের রোজগারের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে চলমান আন্দোলনের কারণে পুজোর উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে পড়ছে। রাজ্যের অর্থনীতির উপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সরকার এবং বিরোধী দল উভয়েরই উচিত এই পরিস্থিতি সমাধানের দিকে এগিয়ে আসা।