বাংলায় নোনা জলেই হবে ধান ও মাছ চাষ, মুখ্যমন্ত্রীর নামকরন ‘নোনা স্বর্ণ’ ও ‘স্বর্ণ মৎস্য’
নবান্ন: করোনা অতিমারীর মধ্যেও গত বুধবার বঙ্গে আছড়ে পড়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। যার ফলে রাজ্যের একাংশ এখন অব্দি ডুবে আছে জল ও অন্ধকারে। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও ব্যাপক। এককথায়, রাজ্যজুড়ে যার প্রভাব হতে চলেছে সুদূরপ্রসারী। তবে এরই মধ্যে রাজ্যের হাল হাকিকত নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বুধবার বিকেলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের উদ্দেশে এক সুখবর ঘোষণা করেন তিনি।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার কৃষি বিজ্ঞানীদের নয়া আবিষ্কারের কথা। যার মোদ্দা বিষয় হল , নোনা জলেই চাষ হবে নতুন এক প্রজাতির ধান ও মাছের।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে রাজ্যের দুই ২৪ পরগনার হেক্টরের পর হেক্টর কৃষিজমি চলে যায় জলের তলায়। এর ফলে সেই সব চাষীরা পড়তে চলেছিল ব্যাপক ক্ষতির মুখে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণায় তাদেরকে নতুন দিশা দেখাল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানাল, রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীরা গোসাবার এক জায়গায় গবেষনা করছিল। সেখানেই তারা এক নতুন বীজ আবিষ্কার করে। যে বীজ বপন করা যাবে নোনা জলে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুবই ভাল খবর।”
তিনি এদিন এও বলেন, রাজ্যের যেসব চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে , সেসব চাষীদের হাতে নোনা জলে চাষ যোগ্য এই নয়া আবিষ্কারের বীজ তুলে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। এমনকি তিনি এও বলেন, এই নোনা জমিতে চাষের পর যে চাল উৎপাদন হবে , তার স্বাদ হবে সাধারণ ভাতের মতই। অন্যদিকে যেসব মাছ চাষের পুকুর চলে গেছে জলের তলায়, সেই সব মাছ চাষের সাথে যুক্ত চাষীদের হাতে মৎস দপ্তর তুলে দেবে নোনা জলে চাষ যোগ্য মাছ। যার ফলে এই সব চাষীদের ক্ষতি এড়ানো যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই দুই নতুন বীজ ও মাছের নামকরণও করেন নিজেই। তিনি নোনা জলে চাষযোগ্য বিজের নাম দেন “নোনা স্বর্ণ” ও মাছগুলির নাম দেন “স্বর্ণ মৎস্য”।