শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দে উত্তাল শান্তিপুর
নদিয়া: শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে উত্তাল শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর অঞ্চলের সাহেবডাঙা গ্রাম। শনিবার বেলা গড়াতেই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকার জমি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেব ডাঙ্গা এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
এর আগেও খেলার মাঠ দখল নিয়ে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকল ও শান্তিপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী উদ্ধার করে বেশ কিছু শক্তিশালী বোমা সহ কিছু ধারালো অস্ত্র।
এলাকার মানুষের দাবি, রাস্তা তৈরির জন্য একটি ধর্মীয় স্থানের জমি সরকার অধিগ্রহণ করে। সেই টাকা ভাগাভাগি করা নিয়ে মল্লিকপাড়া এবং পাশেই উত্তর পাড়ার মধ্যে নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। শুরু হয় রাজনৈতিক দলের উস্কানি।
আবার প্রকাশ্যে আসে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। এই ঘটনার পিছনে তাদেরও মদত রয়েছে বলেই এলাকা মানুষের অভিযোগ। এই ঘটনায় এক পক্ষের সাথে সরাসরি মদত ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠছে শান্তিপুর থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে।
সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এলাকায় ৩-৪টি টালি ও টিনের বাড়ির চালে বোমা বর্ষণ হওয়ার ফলে ঘরের আসবাবপত্র এবং গৃহস্থলীর ব্যবহার্য সব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয় আগুনে।
এমনকি মাদ্রাসার দেওয়ালে বোমা নিক্ষেপ হওয়ার ফলে পাশে থাকা পাটকাঠির গাদায় আগুন লেগে যায় এবং তা থেকে বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেশ কিছু গাছ পুড়ে যায়।
নতুন করে পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয় তার জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হয়। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিবদমান দুই গোষ্ঠীই তৃণমূল আশ্রিত।তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। দু’দল সমাজবিরোধীর লড়াইয়ে এলাকার শান্তিভঙ্গ হচ্ছে। তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।