mobile addiction disease
লড়াই ২৪ : ফুটবলার তৈরি করার শপথ এবার ঋজু ইরফান মোস্তাকিন আরাফাত দের। সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ইতিমধ্যে শতাধিক দুস্ত, অনাথ তাদেরকে ফুটবলার তৈরি করার সংকল্প নিয়ে মাঠে দিনরাত বিনা পয়সায় খাবার জামা কাপড় দিয়ে এগিয়ে চলেছে।
বসিরহাটে মহাকুমার বসিরহাট সোলাদানা কোচিং ক্যাম্প এর উদ্যোগে বসিরহাট দন্ডির হাট হাই স্কুল মাঠে শতাধিক বাচ্চাকে যাদের বয়স ৫,থেকে ১০ আবার কাউর ১০থেকে ১৫ আবার কাউর ১৫ থেকে ২৫ এই সব বয়সীদের মাঠে আনছেন। যারা একসময় মোবাইলে আসক্ত হয়ে বুঁদ হয়ে থাকতো এবার তাদের পায়ে ফুটবল। দেশের জার্সি গায়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বসিরহাটের মহাকুমার সুন্দরবন থেকে সীমান্ত সরুপনগর, মিনাখা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে যেসব দুস্ত অনাথ, তাদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে মাঠে-মাঠে করতে উদ্যোগী নিল, এইসব ফুটবলাররা। উদ্যোক্তা বাকীবিল্লা মন্ডল, শাহজাহান মন্ডল, খোকন দাস, অচিন্ত্য মন্ডল, গোলাম মোস্তফা গাজী সহ যারা একসময় ভারতীয় ফুটবলের প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিলেন। তারাই সাহায্যের করতে এগিয়ে এসেছে।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে বর্তমান পিয়ারলেস এর গোলকিপার ঋজু চক্রবর্তী, ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব ১৯, এর মুস্তাকিন মন্ডল ,আরাফাত মন্ডল, রাজস্থানের জিং ফুটবল একাডেমীর খেলছে ইরফান সর্দার, সোহান।গাজী তারাও এগিয়ে এসেছে। এদেরকে মারমুখী করতে এবং খেল ফুটবলার তৈরি করতে ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার বাকীবিল্লা মন্ডল বলেন, আমরা এক সময় প্রতিভা উপযুক্ত পরিকাঠামো, সুযোগ যোগাযোগ অর্থের অভাবে, সেইভাবে বেশিদূর এগোতে পারিনি। আমরা চাই আমাদের শ্রম অর্থ খাবার জামা কাপড় দিয়ে এদেরকে ফুটবলার তৈরি করা।
এদের প্রতিভাকে কাজে লাগানো প্রধান লক্ষ্য।
করোনা আবহের মধ্যে বহু-বাচ্চা ঘরবন্দি হয় মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তারা মাঠে আসতে চাইছে না, যার জন্য শারীরিক-মানসিক এমনকি শিক্ষা থেকে দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছে। তাই ফুটবল খেলতে হবে। পিয়ারলেস গোলকিপার বিজু চক্রবর্তী বলেন, ” মোবাইলে দুটো দিক আছে একটি ভালো দিক অন্যটি খারাপ দিক। আমরা মোবাইলে ভালো দিক থেকে কাজে লাগাই। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম বেশিরভাগই খারাপ দিকটা কাজে লাগাচ্ছে। যার জন্য শিশুমনের বিকাশ ঘটছে না, তাই ফুটবলার তৈরি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু বাচ্চারা না তার সঙ্গে অভিভাবকদের সাহায্য দরকার”।
ইতিমধ্যে সোলাদানা কোচিং ক্যাম্প থেকে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান,, বাংলা, ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিভাবান ফুটবলাররা ফুটবল খেলছে। আগামী দিনে যাতে দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে বড় জায়গায় যেতে পারে বাংলার নাম উজ্জ্বল করতে পারে তারই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে জানান।
mobile addiction disease