বর্ধমান: সাধনপুরের নারায়ণদিঘিতে ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম তারক রায়, বয়স ২৩ বছর। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। অভিযুক্তের নাম রবি রায়।
মৃতের মা ছবি রায় ও দাদা ধনঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই রবি রায় বাড়িতে অশান্তি করতেন। আগে তিনি ট্রেনে জিনিসপত্র ফেরি করতেন। বাড়িতে ফিরে এসে নিত্য দিন স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন তিনি। নিয়মিত মারধরও করতেন। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পাঁউরুটি, বিস্কুট প্রভৃতি ফেরি করছিলেন। ধনঞ্জয় জানিয়েছেন, মায়ের উপরে অত্যাচার করা নিয়ে ছোট ছেলে তারকের সঙ্গে তাঁর বাবার দীর্ঘ দিনের বিবাদ। বহু দিন ধরেই বাবার এই আচরণের প্রতিবাদ করে আসছেন তারক।
তারক একটি বাড়িতে তাঁর মা, বাবার সঙ্গে থাকতেন। তিনি নৈশ্যপ্রহরির কাজ করতেন। পাশেই একটি বাড়িতে ধনঞ্জয়ের সংসার। মঙ্গলবার রাতে বাবার সঙ্গে একই কারণে তারকের ঝামেলা হয়। কথা কাটাকাটি হয়। তারপর রাতে খাওয়ার পরে যে যার মতো শুতে চলে যান। তারকের মা চলে যান বড় ছেলের বাড়িতে।
বুধবার সকালে ধনঞ্জয়ের সঙ্গেই তিনি বাড়িতে ফেরেন। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা খোলা রয়েছে। তারকের ঘরে ঢুকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তাঁর মা ও দাদা। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারপর থেকে অভিযুক্ত রবি রায় নিখোঁজ।
খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহের পাশে একটি শাবল পড়েছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সে ধরা পড়েনি।