বাচ্চাদের অন্ত্রের কৃমি: ছোট বাচ্চারা পেটে কৃমি কামড়ালে কিছু বলতে পারে না এবং সারাদিন কাঁদতে থাকে। নিবন্ধে উল্লিখিত লক্ষণগুলির সাহায্যে, আপনি জানতে পারবেন পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে আপনার শিশুটিও বিরক্ত নাকি সে ঠিক সেভাবেই কাঁদছে।
পেটে কৃমির লক্ষণ: ছোট বাচ্চাদের প্রায়ই পোকামাকড়ের কামড়ের সমস্যা হয়, তবে তা প্রথম দিকে জানা যায় না। এই কৃমিগুলিকে পিনওয়ার্ম বা থ্রেডওয়ার্মও বলা হয়। পেটে কৃমির কারণে শিশুটি খুব বিরক্ত হয় এবং এটি তার বৃদ্ধিতেও প্রভাব ফেলে। পেটে কৃমির কিছু উপসর্গ আছে, সেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। আজ আমরা আপনাকে এর লক্ষণ এবং প্রতিকার উভয় সম্পর্কেই বলব।
বাচ্চাদের এই সমস্যা কেন হয়?
আসলে ছোট বাচ্চারা মুখে হাত রাখে, যার কারণে পেটে কৃমি ঢুকে যায়। অনেক সময় ছোট বাচ্চারা খেলার সময় মুখে নোংরা খেলনা ঢুকিয়ে দেয়, এতে তাদের পেটেও কৃমি ঢুকে যায়। এ ছাড়া মাটি খাওয়া শিশুদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়। এই কৃমি পেটে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, যার কারণে বাচ্চাদের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। অনেক সময় পরিচ্ছন্নতার যত্ন না নেওয়ার কারণে পেটে কৃমি পড়তে থাকে। সেজন্য শিশুর খাবার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দুটোরই যত্ন নেওয়া জরুরি।
কৃমির লক্ষণ
: পেটে কৃমি দেখা দিলে অনেক উপসর্গ দেখা যায় যেমন ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত কাশি বা দ্রুত ক্ষুধা না পাওয়া ইত্যাদি। শিশুর পেটে যদি ক্রমাগত ব্যথা হয় এবং তার সাথে পেট শক্ত হয়ে যায়, তবে এটিও পেটে কৃমির লক্ষণ। সমস্যা খুব বেশি বেড়ে গেলে বমির সমস্যা হয়। আপনি যদি আপনার সন্তানের মধ্যেও এই সমস্ত লক্ষণগুলি দেখতে পান, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে সতর্ক হতে হবে।
এই প্রতিকারগুলি করতে পারেন
যদি এই সমস্ত লক্ষণগুলি আপনার সন্তানের মধ্যে দৃশ্যমান হয়, তবে আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এরকম অনেক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে কৃমিনাশকের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আপনি আপনার বাচ্চাকে সেখানে নিয়ে যান এবং তাকে কৃমি থেকে মুক্তির ওষুধ দিন। তবে এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এত কিছুর পরেও আপনার শিশুর স্বাস্থ্যবিধির বিশেষ যত্ন নিন এবং দেখুন সে যেন দূষিত খাবার থেকে দূরে থাকে।