প্রয়োজনের তুলনায় প্যারাসিটামল বেশি খেলে তা আসলে সকলের ক্ষতি করে। এই ওষুধে ক্ষেত্রেও এই কথা সত্যি। সাধারণত প্যারাসিটামল এমন একটি ওষুধ যা ভারতে কোনও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। জ্বর হলে সাধারণ মানুষ নিজেরাই এই ওষুধ খান। এখানেই সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বলে জানানো হচ্ছে।
খুব বেশি মাত্রায় অথবা অসাবধানে এই ওষুধ খেলে তা বিভিন্নভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্যারাসিটামল জ্বর এবং শরীরের ব্যথা কমাতে কার্যকর হলেও এর ডাবল ডোজ খাওয়া উচিত নয়। ডবল ডোজের ফলে কিডনি এবং যকৃতের ক্ষতির সম্ভাবন বৃদ্ধি পায় বলে জানা গেছে। প্যারাসিটামল জ্বর এবং ব্যথার চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি সাধারণ এবং সস্তা ওষুধ।
কিন্তু এর ডোজ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে ডাক্তারদের তরফে। তাদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামলের একটি অথবা দুটি ট্যাবলেট দিনে চারবার দেওয়া যেতে পারে। এর বেশি ওষুধ শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে প্যারাসিটামলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল আরও মারাত্মক হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায়, মানুষ ও ইঁদুরের লিভারের কোষে প্যারাসিটামলের প্রভাবের বিষয় গবেষণা করা হয়। দেকাহ গেছে যে লিভারের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এটি অঙ্গে উপস্থিত কোষগুলির মধ্যে কাঠামোগত সংযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর গঠনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এ ছাড়াও এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে বলে জানা গেছে। প্যারাসিটামলের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হয় তা হেপাটাইটিস, ক্যান্সার এবং সিরোসিসের রোগীদের শারীরিক ক্ষতির মতোই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রির কোনও সম্ভাবনা নেই।