আমার চোখে শিক্ষক দিবস, আর আপনার?
মাধুরী ব্যানার্জী: সেই ছোটবেলা থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিতে শিক্ষক দিবস পালন করে এসেছি। শুনেছি ড: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনের দিন শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।
কারণ তিনি নিজে এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর জন্মদিনটি যেন সব শিক্ষদের দিন হিসেবে পালন করা হয়। ওনার ছবিতে মালা পড়িয়ে, ফুল দিয়ে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হত।
মনে পড়ে ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম, সেপ্টেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই ক্লাসের সব বন্ধুরা মিলে শিক্ষক দিবস পালন করা নিয়ে পরিকল্পনা করা শুরু করে দিতাম। কী কী আয়োজন করা হবে, কী কী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, তার জন্য রিহার্সাল, স্কুলের ঘরগুলো কীভাবে সাজাতে হবে, কী কী উপহার দেওয়া হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের! উফ! সে এক অন্য রকম উত্তেজনা।
এরপর কলেজ জীবনেও এই দিনটি পালন করেছি একই উত্তেজনার সঙ্গে।
মোটামুটি দু-তিন দিন আগে থেকেই এই দিনটি পালন করার জন্য তোড়জোড় পড়ে যেত। শিক্ষকদের এই একটা দিন একটু বিশেষ ভাবে উপহার দেওয়াটা আমাদের কর্তব্য।
সারা বছর তাঁরা আমাদের শিক্ষা দেন। পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও অনেক কিছু সেখান, জীবনে চলার পথে মানুষের মত মানুষ হতে সেখান। তাঁদের জন্য এই একটা দিন আমরা আমাদের মত করে উপহার দিয়ে থাকি।
এখন সময় পাল্টেছে, কিন্তু পাল্টায়নি শিক্ষক দিবস। এখনও একই উত্তেজনা নিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়। এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষক দিবস পালনের ছবি দেয় ফেসবুকে। সেই সব ছবি দেখে স্মৃতি চারণা হয়ে যায়।
তবে, এখন শুধু স্কুল না, গৃহশিক্ষকদের জন্যও শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এই একটা দিন ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষকদের জন্য উৎসর্গ করে। কেউ পেন, কেউ বা বই — নিজের সামর্থ মত শিক্ষককে উপহার দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।