লাদাখে চিনা সেনা ঢুকে পড়া নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার
নিউদিল্লি: ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিষয়ে সরকারের পাশে দেশের সব দল। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডাকা, সর্বদলীয় বৈঠককে সর্বস্তরের রাজনৈতিক দলই সম্মতি জানিয়েছে।
তবে, এই বৈঠকেই লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে আগে কেন জানানো হলনা দেশের বাকি সব বিরোধী দলদের! কেনই বা এতদিন চুপ ছিল কেন্দ্রীয় সরকার! কিভাবেই বা চিনা সেনারা ঢুকে পড়ল লাদেখে এমন একাধিক প্রশ্ন নিয়ে সরব হলয়েছেন বিরোধীরা।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেন যে, “সরকার গোড়া থেকে বিরোধীদের এ ব্যাপারে কিছু জানতেই দেয়নি। এমনকি এখনও অনেক কিছু বিষয়ে বিরোধীরা অন্ধকারে
কবে চিনা সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে ঢুকে পড়েছিল। তারা কি ৫ মে থেকেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল? সে কথা কি সরকার জানত। সরকার কি নিয়মিত ভাবে উপগ্রহ চিত্র থেকে দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি জানতে পারে? আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কি জানতে পারেনি যে সীমান্তের ওপারে ষড়যন্ত্র চলছে! সেনা গোয়েন্দারা কি সরকারকে সতর্ক করেনি। তা হলে কি কোনও গোয়েন্দা ব্যর্থতা রয়েছে বলে সরকার মনে করে?”
এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, দেশ এই নিশ্চয়তা চায় যে লাদাখে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। চিন যে ভূখণ্ডের দখল নিয়েছে তা ফেরাতে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
বাকি সব রাজনৈতিক দলই শান্তির কথা বলেছেন। তবে এই শান্তি মানে যে, ভারত দুর্বল তা নয়। ভারত মজবুত তবে মাজবুর না। এমন একাধিক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিরোধী দের।
এই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি চিনের এই উদ্ধত ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনে কোনও গণতন্ত্র নেই।
ওদের একনায়কতন্ত্র আছে। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু আমাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। চিন হেরে যাবে, ভারত জিতবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, একসঙ্গে ভাবব, আমরা সরকারের পাশে আছি।’