হাথরাস কাণ্ডের নিন্দায় টুইট মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তরপ্রদেশ: নরক যন্ত্রণার আরেক নাম উত্তরপ্রদেশ। যোগী রাজ্যে ধর্ষকরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। রাতের অন্ধকারে মেয়েদের দেখলে তাদের লালসার জীব একহাত বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর তাদের লালসার শিকার হয় নিরপরাধ মেয়েরা।
তারপর নির্মম মৃত্যু। এরপরও হাথরস কাণ্ডে নির্যাতিতার যেন রেহাই হল না। পুলিস প্রশাসন তাঁর নিথর দেহটিকেও যথার্থ সম্মান দিতে ব্যর্থ।
রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ চুপিসারে সৎকার করে দিয়েছিল পুলিস। বাড়ির অদূরে চাষের জমিতে দাহ করে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ।
Have no words to condemn the barbaric & shameful incident at Hathras involving a young Dalit girl. My deepest condolences to the family.
More shameful is the forceful cremation without the family’s presence or consent, exposing those who use slogans & lofty promises for votes.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 1, 2020
শেষ যাত্রাতেও পরিজনরা পাশে থাকতে পারলেন না। শোকে কাতর সন্তানহারা পরিবারের কাউকে জানতেও দেয়নি পুলিস।
হাথরাসের নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি চেয়ে সোচ্চার হয়েছে দেশবাসী। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ। যোগী রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের জুটছে নিন্দা, ঘেন্না, ধিক্কার।
এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পৈশাচিক ঘটনার নিন্দায় তিনিও সরব হয়েছেন। এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ”এমন নারকীয় ও বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা করার জন্য কোনও ভাষাই হয়তো যথেষ্ট নয়। মেয়েটির পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মেয়েটিকে কী অসহনীয় নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে!
তিনি আরও লেখেন যে, সব থেকে লজ্জাজনক ঘটনা হল, পরিবারের কারোর উপস্থিতি ছাড়াই পুলিস প্রশাসন মেয়েটির জোর করে সৎকার করল! যারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের জন্য গলা ফাটায়, এই ঘটনা তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে গেল।”