বিধ্বংসী ‘নাগ’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা
বিশ্বজিৎ দাস :-এই বছরের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। এরপর শত্রুপক্ষকে জবাব দিতে একের পর এক বাতিল করা হয় বিভিন্ন অ্যাপস। ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি শত্রুপক্ষের কোনো দ্রব্য। এখন চীন সবদিক থেকে ভারতকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। ভারত প্রস্তুত শত্রুপক্ষকে উচিত জবাব দিতে।
আবারও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল ভারত। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজস্থানের পোখরানে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ‘নাগ’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা।
গতকাল সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় নাগ অ্যান্টি–ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটির। প্রত্যাশামতোই নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে দেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি।
ডিআরডিও সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি বুঝেও জমি থেকে ছোঁড়া যায় এই মিসাইল ৪ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আছড়ে পড়ে নাগ। ইনফ্রারেড সেন্সরের মাধ্যমে শত্রু ফৌজের ট্যাঙ্ক খুঁজে বের করে সেটির উপর বিষাক্ত সাপের মতোই ফণা তুলে আছড়ে পড়ে ‘নাগ’।
অত্যাধুনিক ‘সিকার’ থাকায় দিন বা রাত যে কোনও সময় প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ও দ্রুতগতিতে চলা সামরিক যান খুঁজে বের করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। লাদাখ সীমান্তে চীনা আগ্রাসনের পর যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে ফেলছে ভারত।
ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পর্যন্ত সাফ বার্তা দিয়েছেন যে ভারত শান্তি চায়। তবে হানাদার বাহিনীকে জবাব কীভাবে দিতে হয় তা জানে সেনাবাহিনী। এবং পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার জন্য ভারতীয় ফৌজকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।