প্রায় ১১ মাস পরে খোলা হল দরজা, মুখে ফুটল হাসির রেখা

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

কলকাতা –    প্রায় ১১ মাস পর খুলল সমস্ত সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলের দরজা। এতদিন পর পুরনো পদ্ধতিতে ফিরতে পেরে হাসি ফুটেছে সকলেরই মুখে। 

গত বছর করোনা ভাইরাসের জেরে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্ধ হয়ে যায় সছুল,কলেজ গুলি। অন্য সব অফিস খুলে গেলেও খোলা হয়নি সছুল,কলেজ গুলি। 

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

এদিন বাম যুব নেতাদের উপর পুলিশের বর্বরতার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ থাকলেও খোলা হয়েছিল স্কুল। 

স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে অভিভাবকরা ইতস্তত  বোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত সরকারি বাস নামিয়েছে রাস্তায়। এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য,  আমরা স্কুল পড়ুয়াদের আটকাচ্ছি না। 

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এক্ষেত্রে কঠোর ভাবে  কোভিডের বিধি নিষেধ মানতে হবে। সেই মতই স্কুল গুলি বিধি নিষেধ পালনও করেছে। 

স্কুলে ঢোকা থেকে বেরোনো মানতে হবে রাজ্য সরকারের জারি করা ২৮ পাতার গাইড লাইন। যার অন্যথা করা যাবে না বলে কড়া বার্তা প্রশাসনের। সেই মত মেনেছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।

প্রথমেই উল্লেখ রয়েছে  স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী সকলকে মাস্ক পরতে হবে।  ছাত্র ছাত্রীদের জ্বর বা কোনও শারীরিক সমস্যা হলে অভিভাবকদের তা স্কুলকে জানাতে হবে। গাইডলাইনে উল্লেখ আছে কম করে সাতদিন তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম করতে হবে।  স্কুলে রাখতে হবে আইসোলেশন রুম। ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে ঢোকার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে প্রত্যেকটি ক্লাসরুম। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পরও স্যানিটাইজ করতে হবে। বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে।  সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্লাস ভাগ করে দিতে হবে। একটি বেঞ্জে ১ বা ২ জনের বেশি পড়ুয়াকে বসতে দেওয়া যাবে না। কোনও ভিজিটার বা অভিভাবক স্কুলে ঢুকতে পারবে না।  প্রত্যেক ক্লাসরুমে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। স্কুলে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানিং ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা অন্যের জলের বোতল ব্যবহার করা যাবে না।  খেলাধুলো বা অনুষ্ঠানের কোনও আয়োজন করা যাবে না। গোটা বিষয়টি নজরে রাখবেন    জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক ও স্থানীয় প্রশাসন।  প্রত্যেকে শরীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকবেন  প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ঢোকার পর যখন তখন যাতে তারা বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।  যাঁরা অনলাইনে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি তাদের উপর নজর রাখতে হবে। বিশেষ যত্ন নিয়ে তাদের পড়াতে হবে। তারজন্য যদি অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়, তার ব্যবস্থা করবেন প্রধান শিক্ষক।  খুব প্রয়োজন ছাড়া যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক  শিক্ষিকারা। স্কুলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার একটি চেকলিস্ট অভিভাবকদের হাতে দেওয়া হবে।  

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment