বিল মেটাতে পারেনি পরিবার, হাসপাতালের বেডে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হল রোগীকে
মধ্যপ্রদেশ: অপরাধ’ বিল মেটাতে পারেনি রোগীর পরিবার। তাই বৃদ্ধকে হাত, পা বেঁধে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হল। মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরের এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
যদিও ওই অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের।
একজন শীর্ণকায় বয়স্ক ব্যক্তি। যিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন। তাঁর হাত আর পা শক্ত করে দড়ি দিয়ে বাঁধা। এই প্রবীণ রোগী কেন হাসপাতালের বেডে এভাবে শুয়ে রয়েছেন? পরিবারের দাবি, অশীতিপর বৃদ্ধের ‘অপরাধ’ তাঁর চিকিৎসার বিল মেটানো সম্ভব হয়নি।
তাঁর মেয়ে বলেন, “আমরা বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তারপর হাসপাতালে কয়েকদিন রাখা হয় বাবাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আরও ১১ হাজার টাকা বিল বাকি আছে।
কিন্তু আমরা সেই টাকা এখনও দিতে পারিনি। তাই বাবাকে বেঁধে রেখেছে ওরা।” মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণের কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলেই।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মোটেও মানতে রাজি নন। পরিবর্তে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তারা। পালটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, “অশীতিপর ওই রোগীর খিঁচুনি ছিল। তাই হাসপাতালের বেড থেকে যে কোনও সময় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পড়ে গিয়ে যাতে তাঁর কোনও চোটাঘাত না লাগে, তাই তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে।”
এছাড়া মানবিকতার খাতিরে ওই বৃদ্ধের চিকিৎসার বকেয়া বিল মকুব করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তদন্ত ছাড়া মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রবীণ রোগীর পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান তিনি।