রক্ষক যখন ধর্ষকের হাতিয়ার, ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মহিলা পুলিশ অফিসার

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

রক্ষক যখন ধর্ষকের হাতিয়ার, ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার মহিলা পুলিশ অফিসার

গুজরাট: রক্ষক হয়ে ধর্ষকদের বাঁচাতে ঘুষ নিয়েছেন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর। আহমেদাবাদ পশ্চিম মহিলা থানার ইনচার্জ শ্বেতা জাদেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এমনটাই।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

প্রথম দফায় ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। তদন্তের রিপোর্ট বদল করতে আরও ১৫ লক্ষ টাকা আদায় করতে অপরাধীর সঙ্গে নাকি দর কষাকষি চলছিল শ্বেতার। এই গোটা ব্যাপারটাই ফাঁস হয়ে যায়। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় গত বছর। অভিযুক্তের নাম কেনাল শাহ। অফিসেরই দুই মহিলা কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।

দুই নির্যাতিতার পরিবারের তরফেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দুটি ধর্ষণে মামলা দায়ের হয়েছিল কেনালের বিরুদ্ধে। একটি মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন শ্বেতা জাদেজা।

এক নির্যাতিতারই অভিযোগ, তদন্ত কোনওরকমভাবেই গতি পায়নি। এমনকি অপরাধীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও নাকি মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল।

সূত্রের খবর, কেনাল শাহের ভাই ভবেশের থেকে নাকি ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন শ্বেতা। যদিও এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

শ্বেতার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, গত বছর কেনাল শাহের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হলেও তদন্তের কোনও রিপোর্টই পেশ করেননি শ্বেতা।

কেনালের ভাইয়ের মারফৎ তাঁর কাছে নাকি আগাম ২০ লক্ষ টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। সেই টাকা এসেছিল অন্য একজনের সূত্র ধরে। অপরাধীর পরিবারের সঙ্গে নাকি নিয়মিত যোগাযোগও ছিল শ্বেতার। টাকাপয়সা লেনদেনের ব্যাপারে গোপন আলোচনাও চলত। অভিযোগ এমনটাও।

সূত্রের খবর, আরও ১৫ লক্ষ টাকার জন্য নাকি অভিযুক্তকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বেতা। এই নিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে দর কষাকষিও চলছিল তাঁর। এই ব্যাপারটাই সামনে চলে আসে। সেই টাকা তাঁর হাতে পৌঁছেছিল কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি।

গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় অফিসারকে। শনিবার তাঁকে দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বেতাকে জেরা করা চলছে। তবে, এখনও অবধি ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment