BIG BREAKING: প্রয়াত হলেন বাঙালি কিংবদন্তি শক্তি ঠাকুর, শোকাহত মেয়ে মোনালি ঠাকুর
প্রয়াত হলেন বাঙালি কিংবদন্তি শক্তি ঠাকুর। সোমবার অর্থাৎ আজ সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বড় মেয়ে মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর জানিয়েছেন।
বাংলা সিনেমায় বহু গান গেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অনেক বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। বাবার মৃত্যুতে শোকাহত মেয়ে মোনালি ঠাকুর।
শক্তি ঠাকুরের পুরো নাম ছিল শক্তিপ্রসন্নদাস ঠাকুর। সেই সঙ্গে ছিল ভাল গানের গলাও। ১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ শক্তি ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকেই সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন তিনি। ভাল ছিলেন পড়াশোনাতেও। শখ ছিল নাটক করারও।
তরুণ মজুমদারের বেশিরভাগ ছবিতে শক্তি ঠাকুরের উজ্জ্বল উপস্থিতি সবার মন ভরিয়ে দেয় আজও। মজার চরিত্র, আনন্দমাখা হাসি মুখের শক্তি মাত করতেন তরুণ বাবুর সব ছবি। ‘দাদার কীর্তি’ তে সেই অনুপ কুমারের ক্লাবের ছেলের দলটা ভাবুন তো একবার।যার প্রধান সদস্য ছিলেন শক্তি ঠাকুর।
শক্তির গানের গলাকেও তরুণ মজুমদার ওঁর বিভিন্ন ছবিতে কাজে লাগান। ‘দাদার কীর্তি’ তে দোলের গানটাই ভাবুন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে শক্তি ঠাকুর গাইছেন ‘ললিত-রঙ্গে রস-তরঙ্গে প্রাণের সঙ্গে হোলি খেলো, কুমকুম ফাগে রাঙা অনুরাগে অন্তর মন ভরে তোলো…’
শক্তি ঠাকুরের রয়েছেন দুই গুণী কন্যা, মেহুলি আর মোনালি। দুই কন্যাকেই ছোট থেকে গান শিখিয়েছেন শক্তি ঠাকুর। গানের পরিবেশে শিল্পীদের মধ্যে বড় হয়েছেন দুই কন্যা। কিন্তু শক্তি ঠাকুর গান ছাড়াও পড়াশোনাকে আগে রাখতেন। মেয়েদের শিক্ষিতা হওয়া জরুরি।
তবে, শক্তি ঠাকুর জীবনে অনেক গুণী হয়েও সেভাবে সম্মান, খ্যাতি, আর্থিক সাফল্য পাননি। একটা সময়ের পরে তো অন্তরালেই চলে গেছিলেন। গায়ক-অভিনেতা তিনি, কিন্তু প্রথম সারির নায়ক বা গায়ক কখনও হতে পারেননি।
কিন্তু, মেয়ে মোনালি যেন পিতার সব আক্ষেপ দূর করে দিয়েছিলেন সেই প্রথম সারির স্টার হয়ে। শক্তি ঠাকুরের জীবনের সব না পাওয়া মোনালি ভরিয়ে দিয়েছেন।
আজ, ৫ অক্টোবর সুরলোকে চলে গেলেন শক্তি ঠাকুর। তার আগে অন্তরালেই ছিলেন তিনি। কেমন ছিলেন, সে খোঁজ কেউ নেয়নি। সব অভিমানের ঊর্ধ্বে চলে গেলেন আজ তিনি। শক্তি ঠাকুরের সেই হাসি মুখটাই আজীবন গেঁথে থাকবে সকলের মনে।