বকেয়া বেতন চাওয়ায় কর্মীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারল মালিক, অভিযোগ পরিবারের
রাজস্থান: বকেয়া বেতন চেয়েছিলেন মালিকের কাছে। কর্মী হিসেবে এটাই ছিল ‘অপরাধ’। আর সেই অপরাধের সাজা দিতে ওই কর্মীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের আলওয়ারের এক মদের দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে। ওই দোকানেরই ডিপ ফ্রিজার থেকে বছর তেইশের ওই যুবকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম কমল কিশোর। বাড়ি আলওয়ারের কুমপুর গ্রামে।
মদের দোকানে কাজ করতেন কমল নামে ওই যুবক। কিন্তু, হঠাত্ই নিখোঁজ হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মদের দোকানেরই ডিপ ফ্রিজার থেকে দেহটি উদ্ধার করে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুভাষ চন্দ ও রাকেশ যাদব দোকানটির মালিক। তাঁরা বেতন আটকে রেখেছিলেন। বকেয়া সেই টাকা দাবি করাতেই তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে কমলকে খুন করে ফ্রিজারে দেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে কমলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বিকেল চারটের সময় তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন সুভাষ ও রাকেশ। কমলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান। ওই রাতে কমল আর বাড়িতে ফেরেননি।
পরদিন স্থানীয় কয়েক জন ওই দোকানের পিছনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখেন। দোকানের একটি কন্টেনারে আগুন লেগে যায়। আগুন দেখে স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। আগুন নেভানোর পর কন্টেনারের ভিতরে রাখা ডিপ ফ্রিজার থেকে নিখোঁজ কমল কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভিওয়াদির পুলিশ সুপার রামমূর্তি যোগী জানান, মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন নাকি জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরে দেহ ডিপ ফ্রিজারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। মেডিক্যাল বোর্ড কমল কিশোরের দেহ ময়নাতদন্ত করেছে। যদিও তার রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসেনি।