বিশ্বজিৎ দাস:-কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হল পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।পূর্ব ক্যানিং বিধানসভার জীবনতলা বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার জীবনতলা বাজার এলাকায় তৃণমূলের একটি সভার ফলে এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরস্থিতি সামাল দিতে আসে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বচসা বাঁধে। আর সেই বচসাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূলের মিটিংয়ের ফলে এলাকায় সৃষ্টি হওয়া যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে এগিয়ে আসে।এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে জওয়ানরা।এরপরই কেন্দ্রীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোঁড়া শুরু করা হয়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছয়জন জওয়ান পাথরবাজিতে আহত হন।কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণের খবর পাওয়ার পর এলাকায় আরও জওয়ান চলে আসে। তাঁরা এসে লাঠিচার্জ করে। জওয়ানদের লাঠির আঘাতে আহত হন তৃণমূলে বেশকিছু কর্মী-সমর্থক। এরপর পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তাড়া করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। দেওয়া হয় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও।
পরবর্তীকালে,পরিস্থিতি সামাল দিতে SDPO-এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী চলে আসে।এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই ঘটনায় ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী সওকত মোল্লার অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।তাঁরা ইচ্ছে করে দলীয় কাজে বাধা দিচ্ছে।
শনিবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রবিবার সওকত মোল্লার নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। তাঁরা অভিযোগ করে জানায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর এলাকায় ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।”যদিও স্থানীয় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,উন্মাদিত জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে