টালিগঞ্জ: দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত। মানুষজন নিরাপত্তার খাতিরে যে যার নিজের বাড়ি। করোনার এমন সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাজিয়ে রাখতে গিয়ে, তৈরি হচ্ছে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। এবার সেই বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়ে নিজের বাড়ির মধ্যেই মারা গিয়ে বেশ কয়েকদিন পড়ে রইলেন টালিগঞ্জের রানি ভবানি রোডের বাসিন্দা বছর ৭৫-এর বৃদ্ধা, নাম সন্ধ্যারানী দাস।
বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেতে থাকে। কিন্তু এই পচা গন্ধের উৎস কি, তা তারা বুঝে উঠতে না পেরে, খোঁজ করতে শুরু করে সেই উৎসের। অবশেষে তারা বুঝতে পারে, গন্ধটি আসছে ওই বৃদ্ধার বাড়ি থেকে। তারপরই খবর যায় পুলিশে। রবিবার রাতে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সবার। বিছানার উপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে সন্ধারানী দাস, বৃদ্ধার শরীরের চামড়া খোশে পড়ছে, আর সাথে দুর্গন্ধ।
পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় এবং এর পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে খতিয়ে দেখছে বলেও জানানো হয় পুলিশের তরফে।
প্রতিবেশীরা জানায় যে, বৃদ্ধার ছেলে কাজের সূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে প্রতিবেশীরা এও প্রশ্ন তুলতে থাকে , বৃদ্ধার আর ছেলের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে। যেহেতু আনুমানিক ৩ দিন আগেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। তাহলে কেন একবারও ফোন করেন নি ছেলে! ফোন করলে , মায়ের জবাব না পেলে যোগাযোগ করত প্রতিবেশীদের সাথে। তেমনটাও করেন নি ছেলে।