তুলসী গাছ মরে গেলে কি হয়: সনাতন ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পূজনীয় বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী স্বয়ং তুলসী গাছে বাস করেন। ঘরে তুলসীর বৃদ্ধি খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় যে কিছু বাড়িতে তুলসী গাছ ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করে। জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তুলসীর কালো দাগ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ নির্দেশ করে এবং পরিবারের সদস্যদের কখনই এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। আসুন জেনে নিই ঘরের তুলসী গাছ হঠাৎ শুকিয়ে যাওয়া কী ইঙ্গিত দিতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ঘরের তুলসী গাছটি কালো হতে শুরু করে বা শুকিয়ে যেতে শুরু করে, তাহলে বুঝতে হবে ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ছে। যখন ঘরে শনি বা রাহু-কেতুর প্রভাব অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, তখন তুলসী গাছটিও কালো হতে শুরু করে। এছাড়াও, ঘরে পিতৃ দোষের প্রভাব বাড়লে তুলসী শুকিয়ে যেতে বা কালো হতে শুরু করে।
তুলসী কালো হয়ে যাওয়া বাড়িতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা আর্থিক সমস্যার আগমনের লক্ষণ হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, তুলসী গাছ সর্বদা উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে লাগানো উচিত। এর প্রভাব দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে নেতিবাচক দেখা দিতে পারে। তুলসী গাছের কাছে ময়লা রাখার ফলে বা পরিষ্কার না করার ফলেও গাছটি শুকিয়ে যায় বা কালো হয়ে যায়।
তুলসী সম্পর্কিত ৫টি বিশেষ নিয়ম
এই দিনগুলিতে জল নিবেদন করবেন না- হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে তুলসী মাতৃদেবীর এক রূপ। রবিবার, সংক্রান্তি, একাদশী এবং রাতে তুলসী পাতা ছিঁড়ে ফেলা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়।
তুলসীর কাছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন- তুলসী গাছ অত্যন্ত পবিত্র, তাই এর চারপাশের এলাকা সর্বদা পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ রাখা উচিত। সেখানে কোন জুতা, চপ্পল বা ময়লা থাকা উচিত নয়।
প্রতিদিন তুলসীকে জল অর্পণ করুন- প্রতিদিন সকালে তুলসী মাতাকে জল অর্পণ করা শুভ। এছাড়াও, প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘ওঁ তুলস্যায়ি নমঃ’ মন্ত্র জপ করলে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
তুলসীর শুকনো বা পতিত পাতা নিবেদন করবেন না – পূজায় কেবল তাজা এবং পরিষ্কার পাতা ব্যবহার করা উচিত। মাটিতে শুকনো বা পতিত তুলসী পাতা অর্পণ করা অশুভ বলে মনে করা হয়।
তুলসী গাছকে কখনো একা রাখবেন না – সবসময় উঠোনে বা বাড়ির জানালার কাছে তুলসী গাছ রাখুন, তবে নিশ্চিত করুন যে এটি একা না থাকে। এর কাছে প্রদীপ, জলের পাত্র বা অন্যান্য গাছপালা রাখা শুভ। তুলসী গাছ মরে গেলে কি হয়
(অস্বীকৃতি: এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে।)