শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৬.৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প ইনটেক ওয়েলের কিছু কাজের জন্য শুক্র ও শনিবার জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে শহরে। তবে মানুষের যাতে কোনওরকম অসুবিধে না হয়, সেজন্য শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডে বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা হিসেবে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ ।
নিজস্ব ২৬টি ট্যাংকারের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) ৫ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন কয়েকটি জলের ট্যাংক কাজে লাগানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিলি করা হবে পানীয় জলের পাউচ।
ক’দিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পানীয় জলের দ্বিতীয় ইনটেক ওয়েলের উদ্বোধন করেন। গৌতম দেব যখন পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন, সেসময় এটা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়। সেইমতো পুরনিগমকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হলে, সাড়ে ৬ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরবর্তীতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ৬.৯ কোটি টাকা মূল্যের প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রথম ইনটেক ওয়েলের সঙ্গে দ্বিতীয়টির সংযোগস্থাপনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই জল সরবরাহ করা যাবে।
বেশ কিছুদিন আগে কাজ শেষ হলেও উৎসবের মরশুমে জল দু’দিন বন্ধ রাখার পক্ষপাতী ছিলেন না মেয়র। তারপর কয়েকদিন এই জেলায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। অবশেষে ঠিক হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুক্র এবং শনিবার সরবরাহ বন্ধ রেখে ইনটেক ওয়েলের বাকি কাজ শেষ করা হবে।
দু’দিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও একদিনেই কাজ শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত। তিনি বলছেন, ‘সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। বিকল্প ইনটেক ওয়েলের সঙ্গে সংযোগের কাজ দু’দিনের আগেই শেষ হবে। তবু আমরা দু’দিনের ব্যবস্থা করে রাখছি। জল সরবরাহ বন্ধ থাকলে মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য বারবার পিএইচই’র সঙ্গে মেয়রের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, পানীয় জল নিয়ে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হবে না।’
দুলালের ব্যাখ্যায়, ‘একটি ইনটেক ওয়েলে পলি জমে গেলে আমাদের যে সমস্যা হত, তেমন এখন থেকে আর হবে না। একটায় পলি পরিষ্কার করার সময় বিকল্পটি দিয়ে শহরে জল সরবরাহ জারি থাকবে।’