‘বাংলার ফুসফুস’ কে বাঁচাতে বাদাবনে উত্তরণ কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছে উজান গাঙ’ সংস্থা
অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া : মাথার চাল, পেটের ভাত কেড়ে নিয়েছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। তেমনই ভেঙে পড়েছে সুন্দরবনের অগণিত গাছ আম্ফানের দাপটে। তার প্রভাবে ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত’বাংলার ফুসফুস’। অনেকেই অনুভব করতে পারছে আগামীতে এর ফল যে কি মারাত্মক হতে পারে সেই বিষয়ে।
সুন্দরবনের ‘ জীবকূল’, ‘বাংলার ফুসফুস’ কে বাঁচাতে এই রাজ্যের হাওড়া জেলারগ্ৰামীণে আমতা ১ নং ব্লকের উদং গ্ৰামের ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’ সংস্থা এগিয়ে এল।
সংস্থার সদস্যরা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের লকডাউন এর প্রভাবে সমগ্ৰ রাজ্যের মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছে। সুন্দরবনের মানুষ ও সমস্যায় পড়েছে। তার উপর আবার ঘুর্ণীঝড় আম্ফান তাদের সমস্যায় দিল।
বাড়ি-ঘর,এর পাশাপাশি গাছ ভেঙে পড়েছে। জীবকূল এর পাশাপাশি মানুষ ও অসহায় হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের বেশির ভাগ মানুষ কাঠ,মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রয় করে দিনযাপন করে।
এই অবস্থায় সুন্দরবনের মানুষ, জীবকূল সর্বপরি ‘বাংলার ফুসফুস’ কে বাঁচাতে “বাদাবনে উত্তরণ” শীর্ষক কর্মসূচিতে বিপন্ন ঘোড়ামারা দ্বীপের বুকে বিভিন্ন ফল বীজ ছড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আমরা আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ছিলাম।
আমাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বেশ কিছু সহৃদয় ব্যক্তি। তারা আমাদের হাতে তুলে দেন বিভিন্ন গাছের বীজ। পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী “স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ” সংস্থার সদস্যরা ঘোড়ামারা দ্বীপের বুকে ছড়িয়ে আসি কয়েকশো গাছের বীজ। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কে একবাক্যে স্বাগত জানিয়েছে ঘোড়ামারা গ্ৰামের মানুষ।
আপাত দৃষ্টিতে এই ভাবনা গুরুত্বহীন মনে হলেও সবুজ রক্ষায় এই ধরনের ছোট ছোট প্রয়াসের মাধ্যমেই আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, ‘বিন্দু থেকে সিন্ধু ‘ গড়ে ওঠে ।তাই
‘বিন্দু থেকে সিন্ধু ‘ গড়ার লক্ষ্যে আগামীর পথে ” স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ ” এর পথ চলা অব্যাহত থাকবে।