লড়াই ২৪ ডেস্ক: মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে ভোটের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে “লক্ষ্মী ভান্ডার” প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কথা মতোই কাজ। তৃতীয়বারের মতো সরকার গড়ার পরই দুয়ারে সরকার মাধ্যমে প্রকল্পের আবেদন পত্র নেওয়া শুরু করে দিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু আবেদনপত্র তো জমা দিয়ে মোটামুটি ভাবে কেটে গেল কয়েকটা দিন। কবেই বা হাতে মিলবে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা?
এদিন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে পুজোর আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে যে সকল ফর্ম জমা পড়েছে তা সমস্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্মের চাহিদা ছিল সব থেকে বেশি। নবান্নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১.৮ কোটি আবেদন পত্র জমা পড়েছিল এই প্রকল্পে। যে প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জেনারেল শ্রেণিভুক্ত পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরিবারের মহিলারা ১,০০০ টাকা পাবেন।
Read more……………Weather Forecast: কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?
উল্লেখ্য, রাজ্যে মহিলা ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া প্রায় সকল মহিলাকেই এই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছিল। গত আগস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যারা যোগ্য তাঁরা সকলেই পাবেন। ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাবেন। যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না বা পেনশন পান না। সরকারি চাকরি করেন বা পেনশন পান যাঁরা, তাঁরা ছাড়া সাধারণ মা-বোনেরা পাবেন।” তাঁর সংযোজন, ‘যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আমরা একটা নিয়ম করেছি। বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। ধরুন, সেই বাড়িতে তিনজন মহিলা আছেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ওই বাড়ির বউ-মেয়েরা পাবেন।’