পরচুলা পরে ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদ, নাবালিকাকে অপহরন করে লাগাতার শারীরিক নির্যাতন যুবকের

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now
Instagram Channel Follow Now

পরচুলা পরে ফেসবুকে বন্ধুত্বের ফাঁদ, নাবালিকাকে অপহরন করে লাগাতার শারীরিক নির্যাতন যুবকের

উত্তর প্রদেশ: পরচুলা পরে ফেসবুক বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতেছিল। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েছিল মেয়েটি। অবশেষে নাবালিকাকে অপহরণ করে লাগাতার শারীরিক নির্যাতন করে ৪২ বছরের যুবক। পুলিশের জেরার মুখে পরে স্বীকার করেছে নিজের অপরাধ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মীরাট শহরে। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMJ-knQswsK61Aw?hl=en-IN&gl=IN&ceid=IN:en

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ বছরের ওই যুবকের নাম আবদুল্লা। ইতিমধ্যেই তিনবার বিয়ে করে ফেলেছে সে। তিন স্ত্রীর সঙ্গেই সংসার করত। চার সন্তানও রয়েছে তার। পুলিশের জেরার মুখে অবদুল্লা জানিয়েছে, নাবালিকাকে দেখে পছন্দ হয়েছিল

আর তাই সে হিন্দু বলে অমন নামে ফেসবুকে একটি প্রোফাইল খুলেছিল। সেই নামেই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ জমায়। বয়স কমানোর জন্য পরচুল পরে ছবি তোলে। সেই ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপলোড করে।

এরপর বন্ধুত্বের খাতিরে গত ৩ সেপ্টেম্বর নাবালিকাকে দেখা করার কথা বলে। একটি স্থানে আসতে বলে। সেই মতো নাবালিকা সেখানে যায়। তখনই তাকে অপহরণ করে ওই যুবক। স্থানীয় কঙ্করখেদা এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখে। সেখানে লাগাতার শারীরিক নির্যাতন করে নাবালিকাকে।

এদিকে নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে তার পরিবার। মীরাট থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানানো হয়। নাবালিকার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ফেসবুক চ্যাটের সূত্র ধরেই নাবালিকার সন্ধান মেলে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে বুধবার নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হবে। তার আগেই অবশ্য পুলিশের জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে আবদুল্লা। তার দাবি, নাবালিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল সে। সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

ভেবেছিল চাপে পড়ে নাবালিকা তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Author

এই খবরটা তাঁর সঙ্গে শেয়ার করুন, যার এটা জানা দরকার

Make your comment