লড়াই ২৪ ডেস্ক: তালিবানরা দেশ দখলের সাথে সাথেই বেড়েছে আফগানিস্তান ছুটের সংখ্যা। প্রাণ হাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যাচ্ছে আফগানরা। ফেলে যাচ্ছে টাকা-পয়সা, সম্পত্তি। প্রাণে বাঁচতে এটাই শেষ পথ। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে শরণার্থী হয়েছে বহু হিন্দু, শিখ ও আফগানরা। তবে মুসলিম আফগান নাগরিকদের ভারতে নাগরিকত্ব ও শরণার্থীর দরজা প্রদানে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যদিও এই বিষয়ে কোনো মতামত পেশ করেনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তবে যারা দেশে ফিরে তালিবানদের প্রশংসা করছে তাদের ভীষণভাবে বিরোধিতা করছে ভিএইচপি ও সংঘ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, “হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ আফগানরা এখানে আশ্রয় পাবেন। যারা আমাদের দেশ ভাগ করেছে বা আফগান মুসলিমরা এখানে নাগরিকত্ব ও শরণার্থীর দাবি করছে তা করা উচিত না।” এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এই কারণেই আমাদের সিএএ চালু করা খুব প্রয়োজন।” এদশে ফিরে কেউ কেউ আবার তালিবানদের প্রশংসা করছে। এবার তাদের মত নিয়ে উঠেছে চরম বিতর্ক। এই প্রসঙ্গে আবার শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “তালিবান মানসিকতা যারা সমর্থন করছে তারাও এক প্রকার তালিবান। তাঁরা বিশেষ এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।”
আরও পড়ুন………………ছেলের নাম রাখলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান!
এদিকে আবার আফগান মুসলিমদের শরণার্থী বা নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে ভিএইচপি-এর সঙ্গে সহমত নয় সংঘ। সংঘের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেন, “এ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ভাববে। তারা কি আমার কথা শুনবে? আমার মতামত নেবে? বরং মন্তব্য করলে জটিলতা বাড়বে। সব বিষয়ে মতামত দেওয়া সংঘের নীতি নয়। বরং বিদেশমন্ত্রকে যোগ্য লোক আছেন। এটা আমার বোঝার বিষয় নয়।” তিনি আরও বলেন, “তালিবানদের মৌলবাদীরা সমর্থন করতো আগে থেকেই। আগে আমেরিকা, এখন চিন তাদের পাশে আছে। সেই পথ নিয়েছে এখানকার কেউ কেউ। তারা এলো কেন? কিন্তু মুখে বললেও এরা কেউ ওখানে যাবে না।” উল্লেখ্য, তিনি এদিন ফের স্পষ্ট করে দেন যে, সিএএ-র প্রতি তাঁর জোড়ালো সমর্থন আছে।