Visva Bharati
লড়াই ২৪ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেও কাটল না জট; ৩ পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু দিন আগে তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বনাম ছাত্রছাত্রীদের সংঘাত চরমে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন পড়ুয়ারা। উপাচার্যের বাংলো ঘেরাও করেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। কিন্তু পিছু হঠতে রাজি ছিল না কোনও পক্ষই।
কলকাতা হাইকোর্ট অসন্তোষে লাগাম টানতেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশের ৫০ ঘণ্টা পর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পরিবর্তের স্থগিতাদেশ জারি করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Read more………………Big Breaking: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী Vijay Rupani
ওই তিন পড়ুয়া ফের কি বহিষ্কৃত হতে পারেন, দুশ্চিন্তায় তাঁরা। অর্থনীতি বিভাগে সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং সংগীত ভবনের রূপা চক্রবর্তী নামে সংগীত বিভাগের পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন।
পড়ুয়ারা উপাচার্যের বাসভবন প্রতীচী ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান । সপ্তাহখানেক ধরে একটানা ছাত্র আন্দোলনে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিরাপত্তার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও পাঠান তিনি। কলকাতা হাই কোর্টেও ছাত্র আন্দোলনের জল গড়ায় পরে।
বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা গত বৃহস্পতিবার ই-মেলের মারফত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ক্লাস যোগের ইচ্ছাপ্রকাশের কথা জানান । তারই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। তবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। ওই তিন পড়ুয়া আবারও যেকোনও কারণ উল্লেখ করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আশঙ্কায় রয়েছেন।