কলকাতা: এ শহর আজ যেমন মহামারি দেখছে, এমন মহামারি দেখেছিল আগেও। প্লেগের সময়। ১৮৯৮ সালের এপ্রিল মাসে। কলকাতার বুকে থাবা বসিয়েছিল প্লেগ। হাজার হাজারে মানুষ শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে।
এই মহামারিতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল বিবেকানন্দ-নিবেদিতা ব্রিগেড। মহামারি মোকাবিলায় পথে নামেন স্বামীজির সব শিষ্যরা।
সেদিন অবস্থা দেখে বিবেকানন্দ করেছিলেন প্লেগ হাসপাতাল তৈরির সংকল্প। তার জন্যে বেলুড়ের জমি বিক্রি করতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি।ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”আমরা যে গাছতলার ফকির ছিলাম, সেই গাছতলাতেই থাকব।”
তবে এসময় শরীর ভেঙে পড়েছিল বিবেকানন্দের। তাঁর পাশে ছিলেন নিবেদিতা। মহামারির মাত্র কয়েক মাস আগে ভারতে আসেন তিনি। কিন্তু পুরোদমে প্রস্তুতির আগেই তিনি নেমে পড়েন এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
বিবেকানন্দ সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন, রোগ ঠেকাতে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। একই সঙ্গে লড়তে হবে গুজবের সঙ্গে। একটি প্রচারপত্র তৈরি করার ভার পড়ে নিবেদিতার উপর। নিবেদিতার তৈরি করা ম্যানুয়াল দুই ভাষায় অনুদিত হয় রাতারাতি। তা প্রচারও করা হয়। প্রথমে বিস্তর অসুবিধা হলেও কাজ কখনও থামেনি।