📍 নিজস্ব প্রতিনিধি | কলকাতা, ৫ জুন ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ভুয়ো ওষুধের দৌরাত্ম্য রুখতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবার থেকে রাজ্যে বিক্রি হওয়া ওষুধের প্যাকেটে থাকবে বিশেষ কিউআর (QR) কোড, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই যাচাই করতে পারবেন ওষুধটি আসল না ভুয়ো।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল ভুয়ো ওষুধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ওষুধের মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করা।
🔍 কীভাবে কাজ করবে এই QR কোড?
প্রতিটি ওষুধের গায়ে থাকবে একটি ইউনিক কিউআর কোড। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বা নির্দিষ্ট অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করলেই দেখা যাবে—
- ওষুধের নাম
- প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম
- ব্যাচ নম্বর
- উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
- লাইসেন্স নম্বর
এই তথ্য যাচাই করে সহজেই বোঝা যাবে ওষুধটি আসল, না কি নকল।
💬 রোগীদের স্বস্তি, ব্যবসায়ীদের চিন্তা
এই সিদ্ধান্তে রোগীদের মধ্যে স্বস্তি এলেও কিছু ব্যবসায়ী চিন্তায় পড়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, এই ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত খরচ বা জটিলতা হতে পারে।
তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হবে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরবরাহ হওয়া ওষুধের ক্ষেত্রে। ধাপে ধাপে বেসরকারি ক্ষেত্রেও এটি বাধ্যতামূলক করা হবে।
“এতদিন অন্ধভাবে ওষুধ কিনতাম। এখন মোবাইলেই যাচাই করতে পারব, এটা সত্যিই বড় সুবিধা।” – এক রোগীর প্রতিক্রিয়া
📌 কেন এই সিদ্ধান্ত?
গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভুয়ো ওষুধ বিক্রির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় কম দামে নকল ওষুধ বিক্রি করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ।
🔮 আগামী দিনের পরিকল্পনা
সরকারি ব্যবস্থায় শুরু হলেও ভবিষ্যতে বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিকেও QR কোড বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। রাজ্য সরকারের আশা, এতে মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়বে এবং ওষুধের বাজারে স্বচ্ছতা আসবে।
🟢 Meta Description (SEO)
“QR কোডে ধরা পড়বে ওষুধ আসল না ভুয়ো? পশ্চিমবঙ্গের নতুন ব্যবস্থায় রোগীদের জন্য বিশাল স্বস্তি, বাজারে নজরদারি বাড়ছে।”
🟢 প্রস্তাবিত থাম্বনেইল ছবি:
একটি হাতে ধরা ওষুধের প্যাকেট, মোবাইল ফোন দিয়ে স্ক্যান করা হচ্ছে কিউআর কোড।

মাত্র ১২ হাজারে ৮ জিবি RAM এর মোবাইল- এখনই কিনুন