পূর্ব মেদিনীপুর: শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর প্রেমিক ও তার সঙ্গীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন যুবক! খুনের পর তাঁর মৃতদেহটি মাটির নীচে পুঁতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এলাকায়। ঘটনায় মৃতের স্ত্রী, তার প্রেমিক ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম নূর মহম্মদ, বাড়ি নন্দকুমার থানার ধান্যনগর গ্রামে। পেশায় দিনমজুর ছিলেন। ১৮ বছর আগে আসমা বিবির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুটি পুত্র সন্তান আছে। বড় ছেলের বয়স ১৬, আর ছোট ছেলের ১১। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হত না। পারিবারিক অশান্তির জেরে বিয়ের ৬ বছর পরে নন্দকুমার থানার ফতেপুর গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে আসেন স্ত্রী আসমা বিবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের ২ বছর পর দুলাল আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আসমা। তিনি যখন বাপের বাড়িতে চলে আসেন, তখন দু’জনের ঘনিষ্টতা আরও বাড়ে। তবে স্বামীর সঙ্গে একেবারেই যে যোগাযোগ ছিল না, তা নয়। ২ ছেলেকে নিয়ে মাঝেমধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়িতে আসতেন নূর মহম্মদ।
তবে গত ৮ দিন ধরে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান নূর। নন্দকুমার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে নূরের স্ত্রী আসমা বিবি, তাঁর প্রেমিক দুলাল শেখ ও শাশুড়িকে আটক করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া দিয়েছে তাঁর প্রেমিক। তবে ফতেপুর গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে এখনও দেহের সন্ধান মেলেনি।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই আসমা বিবির বাপের বাড়িতে চড়াও হয়ে রীতিমতো ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।