ভ্যাকসিনে ছাড় মিলতেই করোনা যুদ্ধে আরও এগোল ভারত, কমল দৈনিক সংক্রমনের হার ও মৃত্যু
নয়াদিল্লি: নতুন বছরে করোনা মোকাবিলায় আরও এগিয়ে চলেছে ভারত। আশা উজ্জ্বল করে সপ্তাহের প্রথম দিন আরও কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,৫০৫ জন, রবিবারও এই সংখ্যা ছিল ১৮,১৭৭। একদিনে করোনার ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৯ হাজার ৫৫৭ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা সাড়ে ৯৯ লক্ষের কাছাকাছি।
বছর পড়তেই দু-দুটি করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে ছাড় মিলেছে। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত করোনা যুদ্ধে সাফল্যের ব্যাপারে ভারতকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
তারই নমুনা বোধহয় মিলল সোমবারের করোনা পরিসংখ্যানে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ, মৃত্যুর হার নিম্নমুখী হওয়ার পাশাপাশি কমল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৩। রবিবার যা ছিল ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ২২০।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৭০। করোনামুক্ত হয়ে ফিরেছেন মোট ৯৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৬৭। দেশে মোট করোনার বলি ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৪৯ জন। সামগ্রিকভাবে শীতের মরশুমে দেশের করোনা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হবে বলে আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞদের, ততটা হয়নি। এটাই বড়সড় আশা বলে মনে করছেন তাঁরা।
এদিকে, জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োগের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে দেশের দুটি ভ্যাকসিনকে। সেরামের করোনা টিকা কোভিশিল্ড হাতে পেলেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ কর্মসূচি। সেইমতো প্রস্তুতিও চলছে। বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে চলছে মহড়া। এ মাসের মধ্যেই যে কোনও সপ্তাহে প্রথম দফার টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে।