পাথরপ্রতিমা: ‘ইয়াস’ ততটা প্রভাব (Yash Effect) ফেলতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু পাথরপ্রতিমা সহ সাগর ও দ্বীপ এলাকাগুলিতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল বাঁধভাঙা প্লাবন। ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে জলোচ্ছ্বাসই প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল সুন্দরবনবাসীর।
পাথরপ্রতিমার জি-প্লটের বাসিন্দারা বুক পেতে বাঁচালেন বাঁধকে। ইয়াসের প্রাথমিক দাপট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই উত্তর সীতারামপুরের লঞ্চঘাটের নদীবাঁধ ভেঙে যেতে দেখেন স্থানীয়রা। নদীবাঁধের পাশেই ধানজমি, একবার নোনাজল ঢুকলে খেসারত গুনতে হবে কয়েক বছর।
নদীবাঁধ ভাঙছে খবর পেতেই প্লাস্টিক, বিচালি হাতের কাছে যে যা পেয়েছে তাই নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁধ রক্ষায়। প্রায় ৭০০ লোক মিলে বুক দিয়ে ধরে রাখেন বাঁধ। একই সঙ্গে পাশের ধানজমি থেকে মাটি কেটে কেউ ফেলতে থাকেন বাঁধের উপরে। কোনওক্রমে ঠেকানো যায় বাঁধের ভাঙন। নিজেদের রক্ষা করে পাথরপ্রতিমার জি-প্লটের বাসিন্দারা।
কোভিডকালে সংকটের মুখে শিশুরাও, হারিয়েছে তাদের অভিভাবকদের
অবশ্য উত্তর সীতারামপুরের লঞ্চঘাটের নদীবাঁধ বাঁচানো গেলেও পাথরপ্রতিমার একাধিক জায়গায় ভেঙেছে নদীবাঁধ। প্লাবিত বেশ কিছু এলাকা। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় ফ্লাড সেন্টারে।
উল্লেখ্য ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের দাপটে বুধবার কমপক্ষে ৬৬ টি বাঁধ ভাঙে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কৃষি ও ঘরবাড়ির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়। এছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যাপক ভাবে ক্ষয় ক্ষতি হয়।
Yash Effect