উদ্ধার সদ্য বিবাহিত যুবকের ঝুলন্ত দেহ, একাধিক আঘাতের চিহ্নে ঘনাচ্ছে রহস্য
হরিশ্চন্দ্রপুর : সদ্য বিবাহিত এক যুবকের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। তবে খুনের অনুমান করছে স্থানীয়রা। শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা অঞ্চলের দেগুন গ্রামে।
মৃতার নাম সানাউল্লাহ(২০)। মাত্র ১৫ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল তার। পরিবার সূত্রের দাবি, গত রাতে একাই ঘুমিয়ে ছিল সে। তার মা তাদের বাড়ির পাশে কাকুর বাড়িতে ঘুমোতে যায়। তারপর সকালে এসে তার মা ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলের দেহ দেখতে পায়। সাথে সাথে তিনি পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকে।
দাবি করা হয়েছে, বছর কুড়ির ওই যুবকের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তাছাড়া তার আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণ নেই।তাই পরিবারের লোকজন মনে করছে তাকে খুন করা হয়েছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও এমনটাই মনে করছেন।
মোঃ মতিউর রহমান নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য বলেন,”সকাল সাতটার সময় আমি এই ঘটনার কথা জানতে পারি।এসে যা দেখলাম মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে সানাউল্লাহকে।কারণ তার শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন এবং রক্তের দাগ রয়েছে।আমরা চাইছি পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দিক।”
সানাউল্লার মা বলেন,”কাল রাতে আমরা একসাথেই খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। পাশে আমার জায়ের বাড়িতে কেউ না থাকায় আমি ঘুমোতে যাই। সকালে এসে দেখি এমন ঘটনা।ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই ছেলের দেহ। কিন্তু সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন। ওর সঙ্গে তো কারোর কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। তাই ভেবে পাচ্ছিনা কে বা কারা এমন করল। পুলিশ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তি দিক এখন এটাই আমরা চাই।”
মাত্র ১৫ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল বছর কুড়ির যুবক সানাউল্লার।বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় এই যুবকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অন্য কারণে খুন নাকি আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক?
এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মনে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।