বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ইদানিং সাদা চিনির বদলে বাদামী চিনিকে খাদ্য তালিকায় যোগ করেছে। এদের মধ্যে পার্থক্যটি আসলে আসলে কোথায়! এখন এটা জানতে হবে যে ব্রাউন চিনি স্বাস্থ্যকর না-কি সাদা চিনি?
ব্রাউন সুগার বা বাদামী চিনি কী?
মূলত আখের রস থেকে চিনি প্রস্তুত করা হয়। প্রাথমিকভাবে যে চিনি প্রস্তুত হয় সেটিই আসলে ‘র-সুগার’ অর্থ্যাৎ ‘বাদামি চিনি’। তাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও বেশি। অন্যদিকে, ব্রাউন চিনি মূলত রাসায়নিকভাবে পরিশোধনের পর সেটি সাদা রঙের হয়ে থাকে। যেহেতু চিনির রঙ পরিবর্তনের কারনে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় সে কারণেই সাদা চিনি অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কৃত্রিম চিনি বা সাদা চিনি কী?
বর্তমানে আমরা অনেকে সাদা বা বাদামী চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম চিনি খেয়ে থাকি। অনেকেই আমরা চিনির বিকল্প হিসেবে ‘জিরোক্যাল’ পণ্যটি চিনি। বাজারে এর কদরও রয়েছে অনেক। তবে চিনির পরিবর্তে যে মিষ্টিজাতীয় উপাদানটি আমরা ব্যবহার করি সেটিও যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। কারণ এতেও রাসায়নিক উপাদান দ্বারা তৈরি হয়। স্যাকারিন ও অ্যাসপার্টেমের সংযোজনে বিকল্প চিনি প্রস্তুত করা হয়। যদিও এতে এফডেএ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। তবুও এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্য উপর প্রভাব-
পরিসংখ্যান বলছে যে, বাদামী চিনিতে ৯৫ শতাংশ সুক্রোজ (সাদা চিনি) এবং ৫ শতাংশ গুড় আছে যার অর্থ সাদা চিনিতেও এটি সমানভাবে রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনুসারে, বাদামি চিনিও ডায়াবেটিক রোগী ও মুটিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর।
পাশাপাশি-
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্যেও ব্রাউন সুগারের জুড়ি মেলা ভার।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্রাউন সুগার প্রকৃতির থেকে জলজ উপাদানকে আকর্ষণ করে তা ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। এতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ত্বকের মসৃণভাব অক্ষত থাকবে।
ব্রণর সমস্যায় উপকার দেয়
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্নাকে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে সাহায্য করে ব্রাউন সুগার।
ব্রাউন সুগারে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোলিক থাকে। এর ফলে ত্বকের পোড়া ভাব কিংবা অন্য কোনও দাগ দূর হয়।
শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় যাঁরা ভোগেন তাঁরাও ব্রাউন সুগারের বেসের তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকে।