লড়াই ২৪ ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রের ততরফ থেকে পাঠানো হয়েছে টিকা। তবে তাতে সন্তুষ্ট নন রাজ্যের আধিকারিকরা। এদিন কেন্দ্র তরফে ৪.৫ লক্ষ টিকা এসে পৌঁছয় রাজ্যে। কিন্তু তা এই সংখ্যক টিকা যথেষ্ট নয়, এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। চাহিদা মেটাতে রাজ্যে দৈনিক ৩ লক্ষ টিকা চাই। কয়েকদিন আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষকে জুলাই মাসে টিকা দিতে চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের টিকা বন্টন নীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি।
আরও পড়ুন….দাম বাড়লো রান্নার গ্যাসের, চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে
টিকাকরণ পারফর্মেন্সের অনুপাতে এগিয়ে রাজ্য এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তবে বিজেপি এই কথা মানতে নারাজ। দেশে নিরিখে বাংলার পরিসংখ্যান তুলে রাজ্য সরকারের দিকে বহু বার প্রশ্নের তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম সংখ্যক টিকা পাঠানো হয়েছে বাংলায়। এই পরিস্থিতি বহু জায়গায় শুধুমাত্র টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।
এদিন আবার রাজ্যে ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যকে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, এবং তাতে বেশ কড়া ভাষায় তিনি জানান, ‘রাজ্য হওয়ায় সমস্ত টিকাকরণের রিপোর্ট কো-উইন অ্যাপে থাকতে হবে এবং টিকাকরণ পদ্ধতি এই কো-উইন পোর্টাল মাধ্যমে করা উচিত।’ এছাড়াও চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘যাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে, টিকাকরণের পরই তাদেরকে একটি শংসাপত্র দিতে হবে। কেউ যদি শংসাপত্র না পায় তাহলে সেই টিকাকরণ ভুয়ো বলে উদ্বেগ তৈরি হতেই পারে।’